রাজশাহী বিশবিদ্যালয়: এক নজরে ইতিহাস , স্থান ও পরিবেশ , স্থান ও পরিবেশ সম্পর্কে জানুন
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়: এক নজরে ইতিহাস , স্থান ও পরিবেশ , স্থান ও পরিবেশ সম্পর্কে জানুন
ভূমিকা
রাজশাহী বিশবিদ্যালয় (RU) বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার অন্যতম
প্রধান
কেন্দ্র। দেশের
উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের এই
বিশাল
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি তার
অসাধারণ একাডেমিক এবং
গবেষণা
কার্যক্রমের জন্য
বিখ্যাত। এখানে
শিক্ষার্থীরা তাদের
শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ
করার
জন্য
সব
ধরনের
সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে।
তো,
রাজশাহী বিশবিদ্যালয় কেমন?
কিভাবে
এটি
শিক্ষার্থীদের জীবনে
প্রভাব
ফেলে?
এসব
প্রশ্নের উত্তর
খুঁজতেই আমাদের
এই
আলোচনা।
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের ইতিহাস
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ১৯৫৩
সালে।
এর
উদ্দেশ্য ছিল
উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য
উচ্চশিক্ষার সুযোগ
সৃষ্টি
করা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রথম
ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন ড. ই.
উইলিয়ামস। প্রতিষ্ঠার পর
থেকে
বিশবিদ্যালয়টি ধীরে
ধীরে
দেশের
শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ও পরিবেশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত, যা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড
নামে পরিচিত রাজশাহী শহরে অবস্থিত। এটি
দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়, যা শিক্ষার মান
ও পরিবেশের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
চলুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগলিক অবস্থান ও এর আশেপাশের
পরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
ভৌগলিক অবস্থান
অবস্থান:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী জেলার মতিহার থানার মধ্যে অবস্থিত। এটি শহরের কেন্দ্র
থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পূর্ব
দিকে অবস্থিত।
জিপিএস কোঅর্ডিনেটস: বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভবনের স্থানাঙ্ক হলো ২৪.৩৬৭°
উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৬৩৫°
পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
আশেপাশের এলাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে গাছপালা এবং সবুজে ঘেরা
একটি মনোরম পরিবেশ রয়েছে। উত্তরে পদ্মা নদী এবং দক্ষিণে
বিভিন্ন আবাসিক এলাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে বিস্তৃত।
ক্যাম্পাস ও এর সৌন্দর্য
বিশাল ক্যাম্পাস: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি প্রায় ৭৫৩ একর জায়গাজুড়ে
বিস্তৃত। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি,
ছাত্রাবাস এবং খেলার মাঠ
রয়েছে।
সবুজ পরিবেশ: ক্যাম্পাসটি সবুজে ঘেরা, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং উদ্যান রয়েছে।
এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রশান্তি
এবং নিরিবিলি পরিবেশ প্রদান করে।
ঝিল ও পুকুর: ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকটি ঝিল
ও পুকুর রয়েছে, যা এর সৌন্দর্যকে
আরও বৃদ্ধি করে। এই জলাশয়গুলো
শিক্ষার্থীদের বিনোদনের একটি প্রধান উৎস।
ইতিহাস ও স্থাপত্য: বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন এবং স্থাপনা
তাদের আর্কিটেকচারের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, শহীদ মিনার এবং
বিভিন্ন অনুষদের ভবন উল্লেখযোগ্য।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সড়কপথ:
রাজশাহী শহর থেকে অল্প
দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায় সড়কপথে সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানো যায়। শহরের প্রধান
সড়কগুলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ
সড়ক রয়েছে।
রেলপথ:
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে অল্প দূরত্বে
অবস্থিত হওয়ায় রেলপথেও সহজে আসা যায়।
রেলস্টেশন থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত
অটোরিকশা বা রিকশার সুবিধা
রয়েছে।
বিমানপথ:
রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে ক্যাম্পাসে আসতে
প্রায় ২০-২৫ মিনিট
সময় লাগে। বিমানবন্দর থেকে ক্যাম্পাসে আসার
জন্য ট্যাক্সি ও অন্যান্য যানবাহনের
ব্যবস্থা রয়েছে।
একাডেমিক ডিপার্টমেন্ট ও কোর্সসমূহ
রাজশাহী বিশবিদ্যালয় বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম
প্রধান
কেন্দ্র। এখানে
বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য
স্নাতক,
স্নাতকোত্তর এবং
পিএইচডি পর্যায়ের বিভিন্ন কোর্সের সুযোগ
রয়েছে।
চলুন
জেনে
নিই
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের একাডেমিক ডিপার্টমেন্ট ও
তাদের
কোর্সসমূহ সম্পর্কে।
বিভাগসমূহ
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫৯টি
বিভাগ
এবং
৯টি
ফ্যাকাল্টি রয়েছে।
প্রতিটি বিভাগ
শিক্ষার্থীদের জন্য
নানা
ধরনের
কোর্স
এবং
গবেষণার সুযোগ
প্রদান
করে।
ফ্যাকাল্টি এবং বিভাগসমূহ
- বিজ্ঞান
অনুষদ:
- পদার্থ
বিজ্ঞান
- রসায়ন
- গণিত
- জীববিজ্ঞান
- কম্পিউটার
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল
- ভূতত্ত্ব
ও খনিবিদ্যা
- কলা
অনুষদ:
- বাংলা
- ইংরেজি
- ইতিহাস
- দর্শন
- সংস্কৃত
- ইসলামের
ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- সমাজবিজ্ঞান
অনুষদ:
- সমাজবিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- জনসংযোগ
ও সাংবাদিকতা
- গণযোগাযোগ
ও সাংবাদিকতা
- ব্যবসা
অনুষদ:
- ব্যবসায়
প্রশাসন
- হিসাববিজ্ঞান
ও তথ্য ব্যবস্থা
- মার্কেটিং
- ব্যবস্থাপনা
- ফিন্যান্স
- আইন
অনুষদ:
- আইন
- বিচার
ব্যবস্থা
- প্রকৌশল
অনুষদ:
- ইলেকট্রিক্যাল
ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল
- যন্ত্র
প্রকৌশল
- কম্পিউটার
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল
- কৃষি
অনুষদ:
- কৃষি
বিজ্ঞান
- কৃষি
অর্থনীতি
- কৃষি
সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন
- চারুকলা
অনুষদ:
- চারুকলা
- কারুশিল্প
- গ্রাফিক
ডিজাইন
- ভেটেরিনারি
অনুষদ:
- ভেটেরিনারি
ও এনিমেল সায়েন্স
কোর্সসমূহ
স্নাতক (Honors) কোর্স: - ৪ বছরের
স্নাতক
(অনার্স)
প্রোগ্রাম। - বিভিন্ন বিভাগে
স্নাতক
(অনার্স)
কোর্স
যেমন
বিএসসি,
বিবিএ,
বিএ,
বিবিএস।
স্নাতকোত্তর (Masters) কোর্স: - ১ থেকে
২
বছরের
স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম। - বিভিন্ন বিভাগে
মাস্টার্স কোর্স
যেমন
এমএসসি,
এমবিএ,
এমএ,
এমবিএস।
পিএইচডি ও গবেষণা কোর্স: - বিভিন্ন বিভাগে
পিএইচডি প্রোগ্রাম। - উন্নত
গবেষণা
ও
উদ্ভাবনের সুযোগ।
গবেষণা ও উদ্ভাবন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও
গবেষণার ক্ষেত্রে একটি
গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর
থেকেই
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা
ও
উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের
শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান
রেখে
চলেছে।
এখানে
বিভিন্ন বিভাগে
গবেষণা
কার্যক্রম পরিচালিত হয়
যা
নতুন
জ্ঞান
সৃষ্টিতে ও
সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন
করে।
গবেষণা কার্যক্রমের বৈচিত্র্য
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ক্ষেত্রগুলো অত্যন্ত বিস্তৃত। এখানে
প্রায়
প্রতিটি বিভাগে
গবেষণার কাজ
চলে
এবং
এই
গবেষণা
কার্যক্রমগুলি অনেক
ক্ষেত্রেই জাতীয়
ও
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে।
- বিজ্ঞান
ও প্রকৌশল:
- পদার্থ
বিজ্ঞান, রসায়ন, এবং জীববিজ্ঞান বিভাগে গবেষণা কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই গবেষণাগুলো নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের পথে একটি বড় ধাপ।
- কম্পিউটার
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে গবেষণা কার্যক্রম তথ্য প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং ডাটা সায়েন্সের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
- সমাজবিজ্ঞান
ও মানবিক বিজ্ঞান:
- সমাজবিজ্ঞান,
অর্থনীতি, এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করা হয়। এই গবেষণাগুলো নীতি নির্ধারণে ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক।
- বাংলা,
ইংরেজি, এবং ইতিহাস বিভাগে সাহিত্য, ভাষাতত্ত্ব, এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা করা হয়, যা দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে আরও গভীরভাবে বুঝতে সহায়ক।
- কৃষি
ও পরিবেশ বিজ্ঞান:
- কৃষি
বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি অনুষদে খাদ্য উৎপাদন, প্রাণিসম্পদ, এবং কৃষি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা হয়, যা দেশের কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করে।
- পরিবেশ
বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগে পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা করা হয়।
গবেষণা কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ
কয়েকটি বিশেষায়িত গবেষণা
কেন্দ্র রয়েছে,
যা
বিভিন্ন বিষয়ে
গবেষণা
কার্যক্রম পরিচালনা করে
থাকে:
- ইনস্টিটিউট
অব বায়োলজিকাল সায়েন্সেস: এখানে জীববিজ্ঞান
এবং এর প্রয়োগক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
- ইনস্টিটিউট
অব বাংলাদেশ স্টাডিজ: বাংলাদেশ
সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হয়।
- আগ্রো
বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি স্থানান্তর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পাশাপাশি উদ্ভাবন এবং
প্রযুক্তি স্থানান্তরের উপর
বিশেষ
গুরুত্ব দেওয়া
হয়।
বিভিন্ন বিভাগ
ও
গবেষণা
কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে উদ্ভাবনী চিন্তাধারা এবং
প্রযুক্তি স্থানান্তরিত হয়।
- উদ্ভাবন
কেন্দ্র: এখানে নতুন পণ্য, প্রক্রিয়া
এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্থানীয় এবং জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা হয়।
- ইন্ডাস্ট্রি
সংযোগ: বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান
এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে গবেষণা ও
উদ্ভাবনের ফলাফল প্রয়োগ করা হয়।
ছাত্রজীবন ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের ছাত্রজীবন অত্যন্ত সক্রিয় এবং
রঙিন।
এখানে
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, ক্লাব
এবং
সংগঠনের সাথে
যুক্ত
হতে
পারে।
বছরে
বিভিন্ন উৎসব
এবং
অনুষ্ঠান আয়োজন
করা
হয়
যা
শিক্ষার্থীদের মানসিক
বিকাশে
সহায়তা
করে।
খেলাধুলা ও বিনোদন
খেলাধুলা এবং
বিনোদনের জন্য
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এখানে
বিভিন্ন খেলার
মাঠ,
ইনডোর
গেমসের
ব্যবস্থা এবং
একটি
আধুনিক
জিমনেশিয়াম রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা নিয়মিত
ভাবে
খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে
পারে।
ছাত্রাবাস ও আবাসন ব্যবস্থা
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের ছেলে হলের নাম ও আবাসন ব্যবস্থা
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য
উন্নত
মানের
আবাসন
ব্যবস্থা রয়েছে।
এখানে
ছেলেদের জন্য
১১টি
হল
রয়েছে,
যা
শিক্ষার্থীদের আরামদায়ক ও
সুরক্ষিত পরিবেশ
প্রদান
করে।
চলুন
জেনে
নিই
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের ছেলে
হলগুলোর নাম
এবং
তাদের
সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে।
ছেলে হলের নামসমূহ
১।জিয়াউর রহমান হল
২।শেরে বাংলা ফজলুল হক হল
৩।শহীদ শামসুজ্জোহা হল
৪।শহীদ হবিবুর রহমান হল
৫।মতিহার হল
৬।মাদারবখশ হল
৭।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
৮ শাহ মখদুম হল
৯।আমির আলী হল
১০।আব্দুল লতিফ হল
১১।সোহরাওয়ার্দী হল
ছেলে হলের সুবিধাসমূহ
- আধুনিক
কক্ষ ও সুযোগ-সুবিধা:
- ছেলে হলের কক্ষগুলো
সুশৃঙ্খল এবং আরামদায়ক। প্রতিটি কক্ষে বিছানা, পড়ার টেবিল, আলমারি এবং ফ্যানের ব্যবস্থা রয়েছে।
- কিছু হলে এয়ারকন্ডিশনিং
সিস্টেম এবং হিটারেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
- খাবারের
ব্যবস্থা:
- ছেলে হলের ডাইনিং হলে স্বাস্থ্যকর
ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়। নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি বিশেষ আয়োজনেও খাবার পরিবেশন করা হয়।
- হলের ক্যান্টিনে
বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাকস ও পানীয়র ব্যবস্থা রয়েছে।
- নিরাপত্তা:
- ছেলে হলগুলোতে
২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা সবসময় সজাগ থাকে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে।
- প্রবেশ ও প্রস্থানের
জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে, যা সবার নিরাপত্তার জন্য পালন করা হয়।
- অধ্যয়নের
পরিবেশ:
- ছেলে হলগুলোতে
নিরিবিলি ও পড়াশোনার উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। প্রত্যেক হলে আলাদা স্টাডি রুম রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য একান্তে বসতে পারে।
- স্বাস্থ্যসেবা:
- ছেলেদের
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে হলের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
- নিকটস্থ
মেডিক্যাল সেন্টারের সাথে সংযোগ রয়েছে, যেখানে জরুরি প্রয়োজনে সহজে পৌঁছানো যায়।
- বিনোদন
ও ক্লাব কার্যক্রম:
- ছেলে হলগুলোতে
কমন রুম, টিভি রুম, এবং বিভিন্ন ইনডোর গেমের ব্যবস্থা রয়েছে।
- বিভিন্ন
সাংস্কৃতিক ক্লাব ও সংগঠন নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের মেয়ে হলের নাম ও আবাসন ব্যবস্থা
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য
আধুনিক
এবং
সুরক্ষিত আবাসন
ব্যবস্থা রয়েছে।
এখানে
মেয়েদের জন্য
৭টি
হল
রয়েছে,
যা
শিক্ষার্থীদের আরামদায়ক ও
নিরাপদ
পরিবেশ
প্রদান
করে।
চলুন
জেনে
নিই
রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের মেয়ে
হলগুলোর নাম
এবং
তাদের
সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে।
মেয়ে হলের নামসমূহ
- শাহ্ মখদুম হল
- মেহেরুন্নেসা হল
- তাপসী রাবেয়া হল
- শাহ্ পরান হল
- বেগম রোকেয়া হল
- ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল
- শহীদ মিনার হল
মেয়ে হলের সুবিধাসমূহ
- আধুনিক
কক্ষ ও সুযোগ-সুবিধা:
- মেয়ে হলের কক্ষগুলো
আধুনিক এবং সুশৃঙ্খল। প্রতিটি কক্ষে বিছানা, পড়ার টেবিল, আলমারি এবং ফ্যানের ব্যবস্থা রয়েছে।
- কিছু হলে এয়ারকন্ডিশনিং
সিস্টেম এবং হিটারেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
- খাবারের
ব্যবস্থা:
- মেয়ে হলের ডাইনিং হলে স্বাস্থ্যকর
ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়। নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি বিশেষ আয়োজনেও খাবার পরিবেশন করা হয়।
- হলের ক্যান্টিনে
বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাকস ও পানীয়র ব্যবস্থা রয়েছে।
- নিরাপত্তা:
- মেয়ে হলগুলোতে
২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা সবসময় সজাগ থাকে এবং মেয়েদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে।
- প্রবেশ ও প্রস্থানের
জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে, যা সবার নিরাপত্তার জন্য পালন করা হয়।
- অধ্যয়নের
পরিবেশ:
- মেয়ে হলগুলোতে
নিরিবিলি ও পড়াশোনার উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। প্রত্যেক হলে আলাদা স্টাডি রুম রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য একান্তে বসতে পারে।
- স্বাস্থ্যসেবা:
- মেয়েদের
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে হলের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
- নিকটস্থ
মেডিক্যাল সেন্টারের সাথে সংযোগ রয়েছে, যেখানে জরুরি প্রয়োজনে সহজে পৌঁছানো যায়।
- বিনোদন
ও ক্লাব কার্যক্রম:
- মেয়ে হলগুলোতে
কমন রুম, টিভি রুম, এবং বিভিন্ন ইনডোর গেমের ব্যবস্থা রয়েছে।
- বিভিন্ন
সাংস্কৃতিক ক্লাব ও সংগঠন নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।
অ্যাডমিশন ও নিয়মাবলী
হল-এ
থাকার
জন্য
শিক্ষার্থীদের আবেদন
করতে
হয়
এবং
নির্ধারিত ফি
প্রদান
করতে
হয়।
এখানে
আবাসনের জন্য
নির্দিষ্ট কিছু
নিয়ম-কানুন মেনে চলতে
হয়,
যেমন
নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে
হলে
ফিরে
আসা
এবং
হলের
নিয়ম
অনুযায়ী আচরণ
করা।
গ্রন্থাগার ও তথ্যসেবা
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি দেশের
অন্যতম
বৃহত্তম গ্রন্থাগার। এখানে
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের
বই,
জার্নাল এবং
ডিজিটাল রিসোর্সের মাধ্যমে তাদের
পড়াশোনা করতে
পারে।
এছাড়া
বিভিন্ন তথ্যসেবা এবং
রিসার্চ সাপোর্ট সেন্টার রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সুযোগ-সুবিধা
রাজশাহী বিশবিদ্যালয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে
সহযোগিতা করে।
এই
সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিদেশে
পড়াশোনার সুযোগ
পায়
এবং
আন্তর্জাতিক মানের
গবেষণায় অংশ
নিতে
পারে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামী
দিনে
নতুন
নতুন
কোর্স
এবং
গবেষণার সুযোগ
বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে।
উচ্চমানের শিক্ষার নিশ্চয়তা এবং
গবেষণার ক্ষেত্রে আরও
উন্নতি
আনতে
প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ
করছে।
উপসংহার
রাজশাহী বিশবিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি
গর্বিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে
শিক্ষার্থীরা শুধু
একাডেমিক জ্ঞান
নয়,
বরং
জীবনের
বিভিন্ন দিক
সম্পর্কে জানার
এবং
শেখার
সুযোগ
পায়।
দেশের
এবং
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ
প্রতিষ্ঠানের অবদান
অমূল্য।